রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
এরশাদ আলম- জলঢাকা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের তহশীলদার পাড়া এলাকায় অবস্থিত গাবরোল তহশিলদার পাড়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ গুলোর বেহালদশা তাই খোলা আকাশের নীচে পাঠদান ও অবকাঠামো সহ সার্বিক বিষয়ে নাজেহাল অবস্থা দৃশ্যমান। অতি বৃষ্টি হলেই মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ব্যাহত হয় পাঠদান।
এতে করে শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হয়। শুধু তাই নয় মাঠে এসেম্বলির ক্লাস নিতে সমস্যাও দেখাদেয় এবং সার্বিক বিষয়ে ও অবকাঠামোর বেহাল অবস্থার কারনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকগন খোলা আঁকাশের নিচে পাঠ দান করান। বিদ্যালয়ের টিনসেটের ঘরের নাজেহাল অবস্থা। এই ঘরগুলোতে ক্ল্যাস নিতে হয় শিক্ষকদের।
অনেক সময় বৃষ্টি বাদলকে উপেক্ষা করে ক্লাশ নিতে হয় শিক্ষকদের। এই সমস্যা সমাধানে একটি ভবনের জন্য শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে বাড়তি সময় ক্ষেপন করে পাচ্ছে না একটি ভবন এমন কথা বলেন শিক্ষকরা।
বিদয়ালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ জানান, যার কাছে যাই, তারাই ভবন দেওয়ার স্বপ্ন দেখায় কিন্তু পূরন হয় না, এখন কেউ ফিরে তাকায় না খোঁজ খবরও নেয় না।
আরও জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে বেদনাগুলোকে চাপা দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়াতে খোলা আঁকাশের নিচে বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে শিক্ষকরা পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হল শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করা। তাহলে বিদ্যালয়টিতে কী ডিজিটালের ছোয়া পড়বে না! এমন প্রশ্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যলয়টি স্থাপিত হয় ১৯৯২ইং সালে। ৭ জন শিক্ষক ও ৭০/৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ দিন ধরে উন্নয়নের ছোয়া পরেনি এ প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে ১২ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা ও এক জন কর্মচারী এবং ৬‘শত ৯৩ জন ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে।
কিন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর বেহালদশার কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা সমস্যা হচ্ছে। ২০০২ইং সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ভবনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করা হলেও কোন ফল হয়নি। ভবন না থাকায় মাঠে ক্লাস নিতে হচ্ছে, বিদ্যালয়ের জন্য সরকারী বরাদ্ধ পেলে অবকাঠামো উন্নত করা যেতো।